স্পোর্টস ডেস্ক,
৫-৭ জন নামি, ফ্রন্টলাইন তারকা নেই। তারপরও দলটা অস্ট্রেলিয়া। এ দলের বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়। অর্জনটা কত বড়? এ সিরিজ থেকে আসলে কী পেল টাইগাররা?
সত্যিই কি পিচ থেকে সাহায্য পেয়েই অস্ট্রেলিয়ানদের হারালো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল? উইকেটটা একদম নিজেদের উপযোগী ছিল বলেই কি টাইগারদের এমন পারফরম্যান্স? নাকি রিয়াদ বাহিনীরও কারিশমা আছে? তারা নিজেদের সেরাটা দেখিয়েছেন বলেই অসিদের এমনভাবে হারাতে পেরেছে স্বাগতিকরা?
এসব প্রশ্নের সুন্দর, সুচিন্তিত জবাব এবং বিশ্লেষণ করে দিয়েছেন নাজমুল আবেদিন ফাহিম। সাকিব-মুশফিকদের কোচ, মেন্টর এবং বিকেএসপির প্রধান কোচ ও উপদেষ্টা কিছুতেই মানতে রাজি নন শুধু কন্ডিশনের কারণেই জিতেছে বাংলাদেশ।
নাজমুল আবেদিন ফাহিম বলেন, ‘আমি এটা একদমই মানতে নারাজ যে, শুধু কন্ডিশনের কারণেই আমরা জিতেছি। দেখুন, আমরা ব্যাটিংয়ে কোনো বাড়তি সুবিধা পাইনি। যদি উইকেট থেকে সুবিধা পেতাম, তাহলে নিশ্চয়ই ১০৪ রানে অলআউট (চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে) হতাম না। এই পিচে আমাদের ব্যাটসম্যানদেরও প্রচুর কষ্ট করতে হয়েছে। বেশ ঘাম ঝরেছে রান করতে।’
অভিজ্ঞ এই কোচ মনে করেন, আসল পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। তিনি বলেন, ‘বোলাররা পরিবেশ-পরিস্থিতি যতটা সম্ভব কাজে লাগিয়েছে। কন্ডিশনের সর্বোত্তম ব্যবহার ঘটাতে পেরেছে।’
বাংলাদেশের বোলিংয়ের চেয়ে অসি বোলারদের নামডাক আর পরিচিতি বেশি। সেটা উল্লেখ করে ফাহিম বলেন, ‘কাগজে কলমে হয়তো অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের চেয়ে আমাদের বোলারদের নামডাক কম। কিন্তু আমাদের বোলাররা কন্ডিশন খুব ভালোভাবে ব্যবহার করতে পেরেছে। বোলিংই আসলে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। দুই দলের যারা ভালো বোলিং করেছে তারাই জিতেছে। আমরা বোলিং ভালো করেই জিতেছি।’
ফাহিম বলতে ভোলেননি, ‘সিরিজের শুরুতে অসিরা এ কন্ডিশন উপযোগী বোলিং করতে পারেনি। পরের দিকে তারাও কিন্তু ধীরে ধীরে উন্নতি করেছে।’
এ সিরিজ থেকে তাহলে টিম বাংলাদেশের অর্জন কি? বিকেএসপির প্রধান কোচ ও উপদেষ্টার মতে, ‘আমার মনে হয় এ সিরিজ থেকে আমাদের একটা ভালো অর্জন আছে। সেটা হলো- আমাদের মানসিক বাধা ছিল বড় দলের বিরুদ্ধে খেলা, বড় দলের বিরুদ্ধে জেতার।’
সেই বাধাটা কেটে গেছে। অস্ট্রেলিয়া কাগজে কলমে অনেক এগিয়ে থাকলেও এই জয়কে অঘটন মানতে রাজি নন ফাহিম। তার কথা, ‘এটা অঘটন নয়। আমরা অর্জন করেছি। এ অর্জন মানসিকভাবে আমাদের ক্রিকেটারদের অন্য জায়গায় নিয়ে যাবে।’